হাসপাতালে টেস্ট নিয়ে স্বচ্ছতা কোথায়? ডাক্তারদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত
মতামত: মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে দেখা যায়, অকারণে একের পর এক টেস্ট দেওয়া হচ্ছে।
🩺 টেস্ট করানো হবে, কিন্তু কেন?
ডাক্তারদের অনেকে প্রেসক্রিপশনে একগাদা টেস্ট লিখে দেন, কিন্তু রোগী বুঝতে পারেন না কোন উপসর্গের জন্য কোনটি প্রয়োজন। জ্বর, সর্দি-কাশি বা দুর্বলতার মতো সাধারণ সমস্যার জন্যও CBC, ইউরিন বা এক্স-রে টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো—এই টেস্টগুলো আসলে কতটা জরুরি?
📋 প্রেস্ক্রিপশনে উল্লেখ থাকা উচিত
একটি ছোট মন্তব্য—যেমন "জ্বরের কারণ জানতে CBC", কিংবা "ফুসফুসে সংক্রমণ সন্দেহে এক্স-রে"—প্রেস্ক্রিপশনে থাকলে রোগী আত্মবিশ্বাসী হতো। আর এতে করে টেস্ট সংক্রান্ত অনিয়মও কমতো।
🤝 ডাক্তারদের ভূমিকা ও দায়িত্ব
ডাক্তারদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অপরিসীম। কিন্তু সেই শ্রদ্ধার জায়গা থেকেই অনুরোধ—রোগীর সময় ও অর্থের মূল্য দিতে শিখুন। প্রতিটি টেস্টের যৌক্তিকতা থাকুক প্রেস্ক্রিপশনে। এটা রোগীর অধিকার।
🔍 রোগীদের সচেতনতা জরুরি
রোগীদেরও উচিত প্রশ্ন করা—"এই টেস্ট কেন?", "এর ফলে কী সিদ্ধান্ত হবে?"—এটি জানতে চাওয়া দোষের কিছু না, বরং দায়িত্বশীলতার অংশ।
🛑 উপসংহার
সরকারি হাসপাতালগুলোর উচিত প্রতিটি প্রেসক্রিপশনে টেস্টের কারণ উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা। এতে করে অকারণে টেস্ট দেওয়ার প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনি রোগীও পাবেন মানসম্মত চিকিৎসা ও মানসিক স্বস্তি।
কিওয়ার্ড: সরকারি হাসপাতাল টেস্ট, মুন্সীগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ডাক্তারদের দায়িত্ব, রোগীর অধিকার
Post a Comment
Post a Comment