নেপাল থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানী শুরু: ইতিহাসের নতুন অধ্যায়!
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো হিমালয়ের দেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানী শুরু করল! ১৬ জুন ২০২৫ থেকে নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে প্রবাহিত হচ্ছে ভারতের বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে। এটি শুধু একটি বাণিজ্যিক ঘটনা নয়—দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি সহযোগিতার একটি বড় অগ্রগতি।
কীভাবে আসছে এই বিদ্যুৎ?
এই বিদ্যুৎ সরবরাহ ত্রিপাক্ষিক এক চুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে:
- Nepal Electricity Authority (NEA)
- Bangladesh Power Development Board (BPDB)
- NTPC Vidyut Vyapar Nigam Ltd (NVVN), India)
নেপালের Trishuli ও Devighat জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন প্রতিদিন ভারতের উচ্চভোল্টেজ গ্রিড হয়ে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে প্রবেশ করছে।
বাংলাদেশের জন্য সুবিধা কী?
🔹 লোডশেডিং হ্রাস: গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমবে।
🔹 শিল্প উৎপাদনে গতি: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
🔹 পরিবেশবান্ধব: জলবিদ্যুৎ একটি নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব উৎস।
🔹 আঞ্চলিক জ্বালানি সহযোগিতা: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ বিনিময়ে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বর্তমানে ৪০ মেগাওয়াট সরবরাহ হলেও ভবিষ্যতে তা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।
চ্যালেঞ্জ
- মৌসুমভিত্তিক জলবিদ্যুৎ সরবরাহ নির্ভরতা
- ভারতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরতা
- দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন
উপসংহার
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানী শুধু বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করবে না, বরং দেশের শিল্প খাত, কৃষি, ও গ্রামীণ উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যতে এমন আরও আঞ্চলিক জ্বালানি চুক্তি হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করুন—আপনি কি মনে করেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ আমদানী দেশের উন্নয়নে কতটা কার্যকর হবে?
Post a Comment
Post a Comment